আমাদের লক্ষ্য
আমাদের এমন এক রাষ্ট্রীয় শিক্ষা প্রণালীর বিকাশ করতে হবে যার দ্বারা এমন যুব সমাজ গড়ে উঠবে যারা হিন্দুত্বনিষ্ঠ, দেশভক্তিতে পরিপূর্ণ, শারীরিক, প্রানিক, মানসিক, বৌদ্ধিক ও আধ্যাত্মিক চেতনায় পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হবে; যে যুবশক্তি জীবনের বর্তমান সকল সমস্যা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে এবং তাদের নিজেদের জীবন নগরে-গ্রামে, পাহাড়-পর্বতে, বনে-বস্তিতে বসবাসকারী দীন-দুঃখী, অভাবগ্রস্থ ভাইদের সামাজিক কুরীতি, পীড়ন, শোষণ ও অন্যায়ের হাত থেকে মুক্ত করে সকলের জাতীয় জীবনের সাথে একাত্ম করে সমৃদ্ধ ও সুসংস্কৃতকরার জন্য উৎসর্গ করবে।
President Desk
১৯৮৫-র ২৬শে জানুয়ারি ষাট জন শিশু ভাই-বোন নিয়ে সারদা শিশু মন্দির- এর শুভ সূচনা, ঠিকানা ফুলেশ্বর স্টেশনের নিকটে ‘সরকারবাড়ি’। শুরু হল অগ্রগতির ভাবনা। কার্য়কর্তার আন্তরিক প্রয়াসে বিদ্যালয়ের জন্য ঝোপ-ঝাড়, টিবি, নালা ও পরিত্যক্ত জঞ্জালে ভরা প্রায় সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি স্বল্প মূল্যে কেনা হল এবং সেই জমিতে টালির ছাউনি দিয়ে ছোট শ্রেণী কক্ষ তৈরি করে ১৯৮৯ এর ১লা মে তাঁতিবেরিয়ার বর্তমান ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয় সারদা শিশু মন্দির। বিগত চৌত্রিশ বছর ধরে শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নির্মানের লক্ষ্যে অনেক গুনী কার্য়কর্তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সারদা শিশু মন্দির বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন জমির পরিমাণ ২.৬০ একর।
২০১৭ শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণী নিয়ে সারদা শিশু মন্দির মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শিশু বাটিকা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ মিলে ছাত্র – ছাত্রী সংখ্যা ১৮৩৬ জন।
সাহায্যের আবেদন
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, বিবেকানন্দ বিদ্যাবিকাশ পরিষদ ও বিদ্যালয় সমিতির উদ্যোগে বৃহৎ আঙ্কের দান দাতার অর্থানুকূল্যে এযাবৎ বিদ্যালয়গৃহ নির্মিত হয়েছে।
এখন আমাদের নিজেদের উপর দায়িত্ব পড়েছে আশু প্রয়োজন পূরণ করার। আমাদের শিশু মন্দির সমাজ পোষিত, অর্থাৎ বিদ্যালইয়ের অভিভাবকমণ্ডলী ও সুভানুধ্যায়ীদের দিনের অর্থেই উন্নয়নের কাজ হয়ে থাকে।
ছাত্র–ছাত্রীদের শিক্ষার ও সমগ্র বিকাশের জন্য বর্তমান যুগোপযোগী বহুবিধ উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা আছে। তার মধ্যে খুবই জরুরি কয়েকটি কাজ হল-
১) ছয়টি শ্রেণী কক্ষ নির্মান। ২) শিশু বাটিকা স্তরে উপযুক্ত সৈক্ষিক ব্যবস্থা নির্মাণ। ৩) বিদ্যালয় ভবন রক্ষার জন্য খালপাড় বাঁধানো। ৪) কম্পিউটার শিক্ষার জন্য পঞ্চাশটি কম্পিউটার ক্রয়।
শিক্ষা অতি পবিত্র কাজের ক্ষেত্র। বিদ্যালয়ের জন্য দান অতীব পুণ্য কর্ম। সমাজের দানেই বিদ্যালয় গড়ে ওঠে। আসুন আমরা সকলে সারদা শিশু মন্দিরের উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করি।